ঢাকাবুধবার , ৫ মার্চ ২০২৫
  1. অপরাধ
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-বিচার
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আবহাওয়া
  7. কৃষি-সংবাদ
  8. খেলা-ধুলা
  9. জাতীয়
  10. জীবনযাত্রা
  11. তথ্য ও প্রযুক্তি
  12. দুর্ঘটনা
  13. দুর্নীতি
  14. ধর্ম
  15. বিনোদন
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রংপুর জেলার আলু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে

সাকিব চৌধুরী রংপুরঃ
মার্চ ৫, ২০২৫ ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মো: সাকিব চৌধুরী রংপুরঃ রংপুর জেলার উৎপাদিত আলু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। ছোট ছোট বস্তায় ভরা হচ্ছে আলুগুলো। সেইগুলো আবার ওজন দিয়ে প্যাকেজিং করে ট্রাকে তোলা হচ্ছে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য।

 

বুধবার (৫ মার্চ) রংপুরের কাউনিয়া ইউনিয়নের মীরবাগ সড়কের পাশে দেখা মেলে এ কর্মযজ্ঞের।

 

এ সময় কথা হয় কৃষক আমির উদ্দিন এর সঙ্গে তিনি  বলেন, কয়েক বছর ধরে তিনি বিদেশে আলু পাঠাচ্ছেন। চট্টগ্রামের অ্যাগ্রোকাগরি কমোডিটিজ নামে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের কাছে এবার ১৭ টাকা কেজি দরে শানশাইন জাতের আলু তিনি বিক্রি করেছেন। এ আলু ওই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে মালয়েশিয়ায় যাবে।

 

তিনি আরও বলেন, এবার তিনি ৮ একর জমিতে আলুর চাষ করেছেন।  যে দরে এখন তিনি আলু রপ্তানি করছেন তাতে উৎপাদন খরচ উঠলেও বেশি লাভ হবে না। দামটা আরেকটু বাড়ানো দরকার।

 

আরেক কৃষি উদ্যোক্তা আলী ইসলাম জানান, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি কয়েক বছর ধরে নেপাল, মালয়েশিয়া, সৌদি, দুবাই, হংকং আলু পাঠাচ্ছেন। এবার প্রাথমিকভাবে মালয়েশিয়ায় শানশাইন জাতের আলু পাঠানো শুরু করেছেন। তিনি যে পরিমাণ অর্ডার পাচ্ছেন তাতে করে এবার তিনি কমপক্ষে ৩ হাজার টন আলু রপ্তানি করতে পারবেন বলে আশা করছেন।

একই চিত্র দেখা গেছে রংপুরের গংগাচড়া ও মিঠাপুকুর উপজেলায়। এ দুই উপজেলা থেকে আলু যাচ্ছে নেপাল ও দুবাইয়ে । এটি যদি অব্যাহত থাকে তাহলে কৃষকরা লাভবান হবেন ।

 

কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এ উপজেলায় ৫৫ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। তবে কৃষকদের দাবি, চাষের পরিমাণ ৬০ হাজার হেক্টরেরও বেশি, যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। গত বছর আলুর দাম বেশি থাকায় অনেক কৃষক এবার অধিক পরিমাণ জমিতে আলু চাষ করেছেন। বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশন এ বছর আলুর সংরক্ষণ ব্যয় বৃদ্ধির ঘোষণা দেওয়ায় সংকট যেন আরও ঘনীভূত হয়েছে। এ নিয়ে বিভিন্নভাবে প্রতিবাদও জানাচ্ছেন কৃষকরা।

 

সম্প্রতি স্থানীয় বাজার ঘুরে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি স্ট্রিক জাতের আলু ১০-১২ টাকা, সেভেন জাতের আলু ৮-১০ টাকা এবং লাল পাকরি জাতের আলু ১২-১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

আলুর উত্তোলনের মৌসুম এখনও পুরোদমে শুরু না হলেও আগাম আলু রপ্তানি শুরু হওয়ায় কৃষকরা আশার আলো দেখছেন।

 

কৃষকরা বলছেন, আলুর ন্যায্য দাম নিশ্চিতে কোল্ড স্টোরেজের সংরক্ষণ খরচ কমানো, বেশি বেশি রপ্তানির উদ্যোগ এবং স্থানীয় বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আফজাল হোসেন বলেন, এবার আলুর ফলন রেকর্ড পরিমাণ হয়েছে। আলুর উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি বিভাগের পক্ষ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। কিছু কিছু এলাকা থেকে আলু রপ্তানি শুরু হওয়ায় আমরা আশা করছি কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন। রপ্তানি বৃদ্ধিসহ কৃষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমরা চেষ্টা করছি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।