নিজস্ব প্রতিবেদকঃ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ার কুঠি ইউনিয়নের খাঁরুভাজ নামক এলাকায় গুম ও হত্যা মামলার আসামিদের দ্বারা বাদিনীর বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে ।
বিগত ২০২৪ইং সালের ৯ মার্চ জোবেদার ছেলে লোকমান হেকিম(১৯) গুমের শিকার হন। ঘটনার পরের দিন পার্শ্ববর্তী খারুভাজ নদী থেকে লোকমানের মরদেহ উদ্ধার করেন তার চাচা মতিয়ার পরিবার ও এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, চাচা মতিয়ারের পরিবারের সঙ্গে বাদী পক্ষ জোবেদার দীর্ঘদিনের জমি-জমা সংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্ব ছিল। স্বাভাবিক ভাবে এই গুম ও হত্যাকান্ডের দায়ভার প্রতিবেশী মতিয়ার রহমানের পরিবারেরই নাটকীয়তা কোন সন্দেহ নেই। পরে মৃত লোকমানের মা জোবেদা বেগম বাদী হয়ে রংপুরের তারাগঞ্জ থানায় ফরিদুল, তফসিরুল, ফেরদৌস, ফজলু মিয়া,মতিয়ার রহমান, নছিম, আয়েশা ও ফরিদাকে আসামি করে একটি গুম ও হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-জিআর ২৭/২৪। প্রাথমিক তদন্ত সাপেক্ষে তৎসময়ের তারাগঞ্জ থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মামলা রাজু করে কোর্টে প্রতিবেদনে দাখিল করেন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্তাধীন। পরবর্তীতে মামলার ১ জন আসামি ছাড়া অন্যান্য আসামিগন জামিনে বেরিয়ে এসে বাদিনীর পরিবারের উপর হামলা করেন। পরে বাদিনী আবারও একই আসামিগনকে আসামি করে তারাগঞ্জ থানার আরো একটি মামলা করেন। যাহার মামলা নং জি আর ৭০/২৪। বিচারক কার্যক্রম বিলম্বিত হওয়ার সুযোগে দুষ্কৃতিকারীরা বাদীপক্ষের পরিবারের উপরে নানাভাবে অত্যাচার ও নিপিড়ন ও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এরই ঘটনার জের ধরে গত ৯ই মে ২০২৫ইং তারিখ মতিয়ারের পরিবারের লোকজন ফরিদুল, তফসিরুল ও নসিব, ফেরদৌসী মিলে বাদীনি জোবেদা বেগমের বাড়িতে প্রবেশ করে ভাংচুর ও লুটপাট ও তার ১ম সন্তান ওবায়দুল কে আক্রমণ করে গায়ের বিভিন্ন স্থানে জখম ও তার উপর হামলা করেন। বাসা থেকে তিনটি তামাকের বেল সহ তারা বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। তবে এ বিষয়ে থানা কর্তৃপক্ষ অবগত হলেও কোন মামলা হয়নি।
এবিষয়ক পিবিআই এর মামলা তদন্তধীন কর্মকর্তা বলেন, এটি একটি গুম ও হত্যাজনিত ঘটনা। আমরা দীর্ঘদিন থেকে এ মামলা বিভিন্ন ক্লু খুঁজে তদন্ত করে যাচ্ছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট কোর্টে দাখিল করবো।